থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাথে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে পদত্যাগের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে ছিলেন পেতংতার্ন।
ওই ফোনালাপে পেতংতার্ন হুন সেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডারকে নিজের ‘প্রতিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
এক পর্যায়ে তাকে বরখাস্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে, যা আদালত এখন বিবেচনা করছে।
এই রায়ের ফলে পেতংতার্ন হলেন ক্ষমতাধর সিনাওয়াত্রা বংশের তৃতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতা হারালেন।
সাংবিধানিক আদালত ৭-২ ভোটে তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার কাছে ১৫ দিন সময় রয়েছে।
এই সময়কাল উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
যদি তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে গত বছরের আগস্টের পর থেকে পতেতার্ন হবেন পিউ থাই দলের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে।
সেই সময়ে, তার পূর্বসূরী স্রেত্থা থাভিসিনকে তার মন্ত্রিসভায় একজন সাবেক আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল, যিনি একবার জেলে ছিলেন।
কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপ ঘিরে থাইল্যান্ডে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমাও চানব প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন।
ফোনালাপ ফাঁসের জেরে পেতংতার্নের প্রধান জোটসঙ্গী রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি জোট ত্যাগ করেছে।
ভুমজাইথাই পার্টির অভিযোগ, ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পেতংতার্নের আচরণ দেশের মর্যাদা ও সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুন্ন করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম